কম্পিউটার সমস্যা ও তার সমাধান পর্ব- ০৬
সমস্যাঃ ৫১-৬০
51. কম্পিউটারের কনফিগারেশন জানার উপায়
সমাধান: কম্পিউটারের বেসিক কনফিগারেশনগুলো জানার বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। মাই কম্পিউটারে রাইট ক্লিক করে প্রোপ্রার্টিজে গিয়ে জেনারেল ট্যাব থেকে জেনে নিতে পারবেন প্রসেসর, র্যাম ও অপারেটিং সিস্টেম সংক্রান্ত তথ্য। গ্রাফিক্স বা ডিসপ্লে প্রোপ্রার্টিজে গিয়ে ইনফরমেশন থেকে জানতে পারবেন গ্রাফিক্সকার্ড সংক্রান্ত তথ্য। আর অনেকক্ষেত্রেই কম্পিউটার কেনার ক্যাশমেমোতেই এসব বিস্তারিত লিখা থাকে। আরেকটি কাজ করতে পারেন। কোনো অভিজ্ঞ ব্যবহারকারীর সহায়তায় জেনে নিতেপারেন তথ্যগুলো। যেভাবেই যাই জানুন না কেন তা ভালোভাবে লিখে যত্নসহকারে রেখে দিন, পরবর্তীতে কাজে আসতে পারে এসব তথ্য।
সমস্যার ধরণ: অন্যান্য হার্ডওয়্যার
52. কম্পিউটারের বিল্ট ইন ডিভাইস মানে কি?
সমাধান: এখন প্রায় সব কম্পিউটারেই বিল্টইন কিছু না কিছু থাকেই। যেমন- এজিপি কার্ড, সাউন্ড কার্ড, ল্যান কার্ড ইত্যাদি। বিল্টইন অর্থ এই হার্ডওয়্যারটি আপনার মাদারবোর্ডে দেয়াই আছে। আপনি আলাদা না কিনে এটি দিয়েই কাজ চালাতে পারেন। পারফরমেন্সে বিল্টইন হার্ডওয়্যারটি কখনই স্বতন্ত্র হার্ডওয়্যারের সমকক্ষ হতে পারে না। তবে যারা সাধারণ বা মাঝারি মানের ব্যবহারকারী তাদের জন্য বিল্টইন সাউন্ড বা এজিপি কার্ডই যথেষ্ঠ। আর বিল্টইন সাউন্ড কার্ড বা এজিপিতে সমস্যা হলে তা বেশ বিড়ম্বনাকর। অনেকক্ষেত্রে মাদারবোর্ডের উপরই চাপটা পড়ে বেশ জটিলাকার ধারণ করে। তবে মনে রাখবেন, বিল্টইন এজিপি মানেই এটি আপনার সিস্টেম থেকে র্যাম শেয়ার করে। তাই বিল্টইন এজিপি ব্যবহার করলে বাড়তি র্যাম লাগানোটাইভালো। নাহলে সিস্টেম স্লো হয়ে যাওয়া বা হ্যাং করাসহ অনেক সমস্যাই হতে পারে আপনার। আর বিল্টইন ল্যান কার্ড দিয়ে সমস্যা ছাড়াই কাজ চালাতে পারেন।
সমস্যার ধরণ: অন্যান্য হার্ডওয়্যার
53. কম্পিউটারের পাওয়ার সাপ্লাই সম্পর্কে জানতে চাই
সমাধান: কম্পিউটারের অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ অংশ এই পাওয়ার সাপ্লাই। কম্পিউটারের ভেতরের যাবতীয় হার্ডওয়্যার চলে ডিসি পাওয়ারে। এসি ২২০ ভোল্ট পাওয়ারকে পাওয়ার সাপ্লাই ডিসি ৩.৫ ভোল্ট, ৫ ভোল্ট ও ১২ ভোল্টে রূপান্তর করে মাদারবোর্ডে সরবরাহ করে। ফলে সিপিইউর ভেতর যে কারেন্ট থাকে তা বিপদজনক নয়। তবে যদি পাওয়ার অন করে কখনও কাজ করতে হয় তখন খেয়াল রাখবেন যেন শর্টসার্কিট না হয় এবং আপনার পায়ে যেন শুকনা জুতা থাকে। পাওয়ার সাপ্লাই-এর কারণে অনেক সমস্যাই হতে পারে। অস্থিতিশীল ভোল্টেজ সাপ্লাই আপনার মূল্যবান হার্ডওয়্যারের মৃত্যু ডেকে আনতে পারে। সেজন্য ভালোমানে ইউপিএস ব্যবহার করাটা জরুরি।
সমস্যার ধরণ: অন্যান্য হার্ডওয়্যার
54. কম্পিউটারের আর্থিং কি?
সমাধান: ভালোমানের আর্থিং কম্পিউটারের জন্য অতীব প্রয়োজনীয়। আর্থিং করা থাকলে বৈদ্যুতিক শক খাবার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। এটি মূলত বিদ্যুতকে নিরাপদ পথে ভূমিতে নিয়ে যেতে ব্যবহৃত হয়। কোনো ইলেকট্রিশিয়ানকে ডেকে আপনার বাড়ির আর্থিং ঠিক আছে কিনা তাচেক করে নিতে পারে। আর্থিং না থাকার কারণে অনেক সময় কোনো কোনো হার্ডওয়্যার ঠিকমতো কাজ নাও করতে পারে। মনিটর কাঁপতে পারে, কেসিং-এর বডি শক করতে পারে; এমনকি মাদারবোর্ড বা হার্ডডিস্কের ক্ষতি পর্যন্ত হতে পারে।
সমস্যার ধরণ: অন্যান্য হার্ডওয়্যার
55. বিদ্যুতের কারণের পিসির রিস্টার্ট সমস্যার সমাধান
সমাধান: যদি ভোল্টেজের উঠানামার জন্য পিসি রিস্টার্ট দেয় তাহলে ইউপিএস ব্যবহার ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। আরেকটি সমস্যা অনেকসময় দেখা যায়। কম্পিউটারের উপর যখন বেশি চাপ পড়ে তখন সেটি রিস্টার্ট দিতে পারে। পিসি যখন হাইএন্ড গেম বা এপ্লিকেশন রান করতে যায় তখন পিসি রিস্টার্ট করে। এর সম্ভাব্য কারণ হতে পারে অপর্যাপ্ত পাওয়ার সাপ্লাই। অর্থাৎ কাজের সময় আপনার পাওয়ার সাপ্লাই মাদারবোর্ডে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারে না। এক্ষেত্রে আপনাকে পাওয়ার সাপ্লাইটিপরিবর্তন করতে হবে।
সমস্যার ধরণ: অন্যান্য হার্ডওয়্যার
56. এক্সপিতে অফিস ২০১০ ইন্সটল হচ্ছে না
সমাধান: উইন্ডোজ এক্সপিতে মাইক্রোসফট অফিস ২০১০ করতে হলে আপনাকে কমপক্ষে সার্ভিস প্যাক ৩ ব্যবহার করতে হবে। এক্সপির সার্ভিস প্যাক ১ বা ২ এর ব্যবহারকারীরা অফিস ২০১০ ইন্সটল করতে পারবেন না।
সমস্যার ধরণ: কম্পিউটার পরিচালনা
57. কিভাবে সিস্টেম রিস্টোর ব্যবহার করতে পারি
সমাধান:
• উইন্ডোজে সিস্টেম রিস্টোর চালু করতে Start Menu>Programs>Accessories>System Tools>System Restore থেকেসিলেক্ট করুন। অথবা মাই কম্পিউটারে রাইট ক্লিক করে প্রোপার্টিজে যান।সেখান থেকে সিস্টেম প্রোটেকশনে ক্লিক করুন।
• একদম নিচে Create বাটনে ক্লিক করুন।
• একটি নাম দিয়ে সিস্টেম রিস্টোর পয়েন্টটি তৈরি করে নিন। এক্ষেত্রে দিন,তারিখ,সময় দিয়ে চাইলে আপনি নাম দিতে পারেন।
সমস্যার ধরণ: অপারেটিং সিস্টেম
58. পিসির সমস্যায় সিস্টেম রিস্টোর পয়েন্ট ব্যবহারের উপায়
সমাধান: সিস্টেম রিস্টোর পয়েন্ট দিয়ে পিসিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে হয় সেই উপায় নিচে বর্ণনা করা হলো-
* শুরুতেই সিস্টেম রিস্টোর ওপেন করুন।
* System Restore বাটনে ক্লিক করুন।
* সিস্টেম রিস্টোর উইন্ডো চালু হবে। নেক্সটে যান।
* সিস্টেম রিস্টোর পয়েন্টগুলার একটি তালিকা দেখতে পাবেন। খেয়াল করলেই এটি তৈরির সময়,এবং ঐ সময়ে কি কাজ করা হয়েছিল তা দেখতে পাবেন।
* নিচে Scan for affected programs এ ক্লিক করলে এই রিস্টোর পয়েন্ট এক্টিভ করলে সিস্টেমে বর্তমান অবস্থা থেকে কি কি পরিবর্তন হবে বা কোন কোন এপ্লিকেশন,ডাটা মুছে যাবে বা পুরাতন কোনটা ফিরে আসবে তার তালিকা দেখতে পাবেন। একটা কথা মনে রাখবেন,সিস্টেম রিস্টোর শুধুমাত্র এপ্লিকেশনের উপর প্রভাব ফেলে এপ্লিকেশন দিয়ে তৈরি কোন ফাইলের উপর প্রভাব ফেলে না।
* আর Show more restore points এ ক্লিক করলে যদি আরো কোন পুরাতন সিস্টেম রিস্টোর পয়েন্ট থেকে থাকে তার তালিকা দেখতে পাবেন।
* এরপর Next এ ক্লিক Finish প্রেস করলেই কাজ শুরু হবে।মনে রাখবেন,এই সময়ে পিসি একবার রিস্টার্ট নিবেন। রিস্টার্ট নেবার পরো আরো কিছুক্ষন সমস্য লাগবে কাজ শেষ হতে। পুরোটা সময়ে যদি কোনভাবে বিদ্যুতজনিত কোন কারনে পিসি বন্ধ হয় তাহলে সমস্যায় পড়তে পারেন। সতর্ক থাকুন এ ব্যাপারে।
সমস্যার ধরণ: অপারেটিং সিস্টেম
59. ল্যাপটপ ব্যাকআপ কম দিচ্ছে
সমাধান: আপনার ল্যাপটপটি যদি ভালো ব্রান্ডের না হয়ে থাকে তাহলে এটি কেনার কিছুদিন পর থেকেই এই ব্যাকআপ টাইম কমতে পারে। এখানে আসলে করার কিছু নেই। এজন্য কেনার সময়ই ভালো ব্রান্ডের জিনিস বেছে নিন। আর ল্যাপটপ যখন চার্জ দিবেন তখন টানা চার্জ দিবেন। বারবার চার্জ থেকে এটিকে খুলবেন না। এতে ব্যাটারির আয়ু কমে যায়। ব্যাটারি দিয়ে ব্যবহার করলে চার্জ যখন একেবারে শেষের দিকে চলে আসবে তখন আবার নতুন করে চার্জ দিবেন। তার আগে নয়।
সমস্যার ধরণ: অন্যান্য হার্ডওয়্যার
60. ইউপিএস স্টার্ট হচ্ছে না
সমাধান: ইউপিএস-এর সুইচ যদি চালু হয় এবং বাতি জ্বলে কিন্তু তাও আউটপুটে পাওয়ার না পাওয়া যায় তবে বুঝতে হবে যে সমস্যা ইউপিএস এর সার্কিটে। তবে সবার আগে পরীক্ষা করে নিন ইউপিএস এরফিউজ ঠিক আছে কিনা। যদি ফিউজ ঠিক থাকার পরও পাওয়ার না আসে তাহলে অভিজ্ঞ কোনো টেকনিশিয়ানের সাহায্য নিন।
সমস্যার ধরণ: অন্যান্য হার্ডওয়্যার
0 comments:
Post a Comment