কম্পিউটার সফটওয়্যার ব্যসিক
কম্পিউটার চালানোর সময় কম্পিউটারকে যে সমস্ত নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সেগুলোকে সম্মিলিতভাবে বলা হয় সফটওয়্যার। সংকির্ণ অর্থে সফটওয়্যারের বিকল্প নাম প্রোগ্রাম। Hardware সমৃদ্ধ কোন কম্পিউটার যদিsoftware রান না করানো হয় বা করানো না যায় তাহলে উক্ত কম্পিউটারকে কেবল লোহার বাক্স বলা চলে। আর প্রোগ্রামের পটুটার উপর নির্ভর করে সঠিকoutput প্রাপ্তি।তাই দেখা যায়, প্রোগ্রামই কম্পিউটারের প্রশংসার ধারক এবং বাহক। আর ব্যপক অথে কতিপয় প্রোগ্রামের সমষ্টিই হলো. সময়ের চাহিদা মেটাতে সফটওয়্যার করা modify যায়।
প্রোগ্রাম ও সফটওয়্যার এর মধ্য পার্থক্য কি?
নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের লক্ষে কম্পিউটারের ভাষার ধারাবাহিকভাবে লিখিত কমান্ড বা নির্দেশের সমষ্টিকে বলে প্র্রোগ্রাম ।পক্ষান্তরে কোন আসর্ম্পুণ কমান্ড বা নির্দেশের সমষ্টি, যা কোন সমস্যার সমাধান দেয় না তাকে প্রোগ্রম বলা যায় না । প্রোগ্রামে লিখিত কমান্ড বানির্দেশসমূহ টেক্সট ফাইলে সারিবদ্ধভাবে থাকে। প্রোগ্রাম রান করালে কম্পিউটার এই কমান্ড বা নির্দেশনাসমুহ পর্যয়ক্রমিকভাবে পালন করে এবং নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধন দেয়। সাধারনত প্রোগ্রামকেই সফটওয়্যার বলে। তবে মূলতঃ একাধিক প্রোগ্রামের সমষ্টিকেই বলে সফটওয়্যার।
সিস্টেম সফ্টওয়্যারঃ
কম্পিউটার হার্ডওয়ার ও সফ্টওয়ারকে কার্যকর করার নিমিত্তে ব্যবহৃত সাহায্যকারী পোগ্রাসমুহকে বলে সিস্টেম সফ্টওয়্যার। সিস্টেম সফ্টওয়্যারের সাহায্যে কম্পিউটারের হার্ডওয়ার ও সফ্টওয়্যারকে ণিয়ন্ত্রণ, তত্ত্ববধান ও পরিচালনা করা যায়। সিস্টেম সফ্টওয়্যার কম্পিউটার ও কম্পিউটার ব্যবহারকারীর সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে। সিস্টেম সফ্টওয়্যারের সাহায্যে কম্পিউটার পরিচালিত হয়। এছাড়াও সিস্টেম সফ্টওয়্যার ব্যবহারকারীর প্রোগ্রামিং নির্দেশনা অনুবাদ, কম্পিউটার হার্ডওয়ার ও সফ্টওয়্যার এর ত্রুটি নিরসন ইত্যাদি কাজ করে থাকে।
সিস্টেম সফ্টওয়্যারের শ্রেণীবিভাগঃ
সিস্টেম সফ্টওয়্যারকে বিভিন্ন শ্রেণীতে শ্রেণীবিভাগ করা যায়। যথা-
ক) অপারেটিং সিস্টেম সফ্টওয়ার
খ) ইউটিলিটি সফ্টওয়্যার
গ) ট্রানশেস্নটর বা অনুবাদক সফ্টওয়্যার
ঘ) গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেজ সফ্টওয়্যার
অপারেটিং সিস্টেম সফ্টওয়্যারঃ
ইংরেজী Operate শব্দটির আভিধানিক অর্থ পরিচালনা করা এবং শব্দটিরআভিধানিক অর্থ পদ্ধতি বা পরিচালনার পদ্ধতি। কম্পিটারের ড়্গেত্রে অপারেটিং সিস্টেম অর্থ হচ্ছে কম্পিউটার পরিচালনার পদ্ধতি। তাই বলাযায় কম্পিউটার পরিচালনার জন্য যে সফট্ওয়ার ব্যবহৃত হয় তাকে বলেঅপারেটিং সিস্টেম সফটওয়ার। যেমন :-Dos, Windows, Unix, Linux, Macইত্যাদি। (বিস্তারিত আছে "অপারেটিং সিস্টেম" ক্যাটাগরিতে )
ইউটিলিটি সফট্ওয়্যার:
কম্পিউটারের ব্যবহার সহজতর করা এবং কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার মেরামত করার জন্য যে সকল প্রোড়্রাম ব্যবহৃত হয় সেগুলিকে বলে ইউটিলিটি সফটওয়্যার।যেমন :- PC Tool, Norton Utility, McAfce, PC-Cilline, Toolkit ইত্যাদি।
গ্রাফিকেল ইউজার ইন্টারেফস সফটওয়্যার:
চিত্র ভিত্তিক অপারেটিং সফটওয়্যারসমূহকে বলে গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস সফটওয়্যার। যেমন: উইন্ডোজ একটি গ্রাফিকেল ইউজার ইন্টারফেস সফটওয়্যার।
Applications Software:
যে প্রোগ্রামের সাহায্যে কম্পিউটার ব্যবহারকরীগণ তাদের দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজ করার সুযোগ পায় এমন সব প্রোগ্রামকে বলেApplications Software।
Applications Software শ্রেণীবিভাগ :
এপ্লিকেশান সফটওয়্যার কে দুইটি শ্রণাতে বিভক্ত করা যায়।
১. প্যাকেজ সফটওয়্যার।
২. কাষ্টমাইজ সফটওয়্যার।
প্যাকেজ সফটওয়্যার: নির্দিষ্ট কাজের উদ্দেশ্যে তৈরী ও ব্যবহৃত প্রোগ্রামকে বলে প্যাকেজ সফটওয়্যার প্রোগ্রাম । যেমন এমএস ওয়ার্ড প্রোগ্রামের সাহায্যে স্প্রেডশীট এনালিসিসের কাজ করা যায়। এমএস একসিস প্রোগ্রামের সাহায্যে ডেটাবেজ ব্যবস্থাপনার কাজ করা যায়।প্যাকেজ সফটওয়্যার ব্যবহারকারীর প্রয়োজনের দিক লক্ষ রেখে বিভিন্ন বা অপশন সংযোজিত থাকে । ব্যবহারকারী কেবলমাত্র তার প্রয়োজন অনুযায়ী কমান্ড প্রয়োগ করে কিংবা অপশন সিলেক্ট করে কাংখিত কাজ সম্পন্ন কর থাকে।
কাষ্টমাইজ সফটওয়্যার: কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কম্পিউটার ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী তৈরী সফটওয়্যারকে বলে কাষ্টমাইজ সফটওয়্যার । যেমন: ফার্মসমূহে ব্যবহৃত সফটওয়্যার। ব্যাংক, বীমা, হাসপাতাল ইত্যাদি প্রতিষ্টানে ব্যবহৃত সফটওয়্যার কাষ্টমাইজ সফটওয়্যার।
0 comments:
Post a Comment