বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও তথ্যে সমৃদ্ধের লক্ষ্যে....

Notice

ব্লগ উন্নয়নের কাজ চলছে... সবার আন্তরিক সহয়োগীতা একান্তভাবে কামনা করছি..

Monday, March 20, 2017

কম্পিউটার সমস্যা  ও তার সমাধান পর্ব- ০৮

কম্পিউটার সমস্যা  ও তার সমাধান পর্ব- ০৮

সমস্যাঃ ৭১-৮০

71. ল্যাপটপে অপারেটিং সিস্টেম লোড না হলে কি করবো?

সমাধান:

ল্যাপটপ ডেস্কটপে অপারেটিং সিস্টেম লোড না হলে সিস্টেম রিপেয়ারের চেষ্টা করুনএজন্য সেটাপের সিডি ঢুকিয়ে রিপেয়ার সিলেক্ট করুন। অথবা উইন্ডোজ সেফ মোডে চালিয়েই দেখতে পারেনআর তাতেই কাজ না হলে উইন্ডোজ নতুন করে সেট আপ না করে কোনো উপায়থাকবে না।

সমস্যার ধরণ: অপারেটিং সিস্টেম

72. পেন ড্রাইভের স্ক্যান অপশন ডিজাবেল করতে চাই

সমাধান:

উইন্ডোজ সেভেনে পেন ড্রাইভ কিংবা মোবাইল/আইপড কানেক্ট করলেই ভেসে উঠে নিচের মেসেজটি, যা কিনা কাজের সময় আপনাকে যথেষ্ঠ পরিমাণ বিরক্ত করার ব্যাপারে বেশ দক্ষআর যারা বিভিন্ন এন্টিভাইরাস বা অন্য অন্য কোন ইউএসবি প্রোটেকশন টুলস ব্যবহার করেনতাদের জন্যও এটি তেমন কাজের না। তাই এই অপশনটি বন্ধ রাখাটাই হবেবুদ্ধিমানের কাজ। তবে মনে রাখবেনে টি বন্ধ করলে আপনার অটোপ্লে অপশনও আর কাজ করবে না।

1. প্রথমেই স্টার্ট মেনুতে msconfig লিখে এন্টার দিনসার্ভিস টাবে যান

2. শেল হার্ডওয়ার ডিটেকশন খুজে সেটি আনচেক করুন। পিসি রিস্টার্ট দিলেই কাজ হয়ে যাবে।

সমস্যার ধরণকম্পিউটার পরিচালনা

73. সিস্টেম রিপেয়ার ডিস্ক কি এবং এর কাজ

সমাধান:

উইন্ডোজের যেকোনো সমস্যায় পড়লে আপনার অবশ্যই প্রয়োজন হবে সিস্টেম সেটআপ ডিস্ক। কিন্তু ধরুন আপনার কাছে উইন্ডোজ-এর সিডি/ডিভিডি নেই, কম্পিউটারও চালু হচ্ছে না সময় বুঝে। কি করবেন তখন আপনি? এমন পরিস্থিতিতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে সিস্টেম রিপেয়ার ডিস্কএর মাধ্যমে আপনার উইন্ডোজ চালু না হলে সেটিকে আপনি ঠিক করতে পারবেন

1. স্টার্ট মেনুতে system repair disc লিখে এন্টার দিনক্রিয়েটসিস্টেম রিপেয়ার ডিস্ক ওপেন হবে।

2. আপনার সিডি/ডিভিডি রাইটারে ব্ল্যাংক ডিস্ক ঢুকিয়ে ক্রিয়েট ডিস্কে ক্লিক করুন

3. এই ডিস্ক মাত্র ১৪২ মেগাবাইট জায়গা নিবে,তাই চাইলে সিডিতেও রাইট করে নিতে পারেন আপনি।

4. এবারে সিস্টেমের যেকোনো সমস্যায় কম্পিউটার বুট না হলে এই ডিস্ক থেকে বুট করান

5. পরের মেনু থেকে আপনার অপারেটিং সিস্টেম সিলেক্ট করে নেক্সটে যান

6. এরপরেই আপনি রিকভারির অপশনগুলা দেখতে পাবেন। এবারে প্রয়োজনীয় অপশন ব্যবহার করে উইন্ডোজ রিপেয়ার করলে আশা করি আবারো আপনার কম্পিউটার চালু হবে।

সমস্যার ধরণ: অপারেটিং সিস্টেম

74. হার্ডওয়ার ড্রাইভার অনলাইন থেকে আপডেটের উপায়

সমাধান:

এক্সপি থেকে ভিস্তা বা সেভেনে আপগ্রেড করার পেছনে মূল বাধাই হচ্ছে ডিভাইস ড্রাইভার কম্পাটিবিলিটি। দরকারি ডিভাইসটি উপযুক্ত ড্রাইভারের অভাবে আবার অকেজো হয়ে যাবার ভয়ে আমরা অনেকেই আপগ্রেড থেকে বিরত থাকি। তবে উইন্ডোজ সেভেনে আপনাকে ড্রাইভার নিয়ে এতোটা না ভাবলেও চলবে। এটি নিজে থেকেই আপনার ডিভাইসকে চালাতেসক্ষমএছাড়াও কখনো কোনো ডিভাইস কাজ না করলে এবং যদি আপনার কাছে সেটার ড্রাইভারের কপি সিডিতে না থাকে তাহলে অনলাইন থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই আপনি সেটির ড্রাইভার ইন্সটল করে নিতে পারবেন। কিভাবে সেটা করবেন এবারে আমি তা বলছি-

1. মাই কম্পিউটারে রাইট ক্লিক করে প্রোপার্টিজে যানডিভাইস ম্যানেজারে ক্লিক করুন

2. যে ডিভাইসটির ড্রাইভার আপডেট করতে চান সেটিতে রাইট ক্লিক করে আপডেট ডিভাইস সফটওয়ারে ক্লিক করুন

3. পরের উইন্ডোতে সার্চ অটোম্যাটিকালি ফর আপডেটেড ড্রাইভার সফটওয়ারে ক্লিক করলে উইন্ডোজ নিজেই প্রথমে আপনার পিসি এবং তারপর ইন্টারনেট থেকে ড্রাইভার খুজে আপনাকে জানাবে।

সমস্যার ধরণকম্পিউটার পরিচালনা

75. ল্যাপটপের বাটারি ব্যাকআপ বাড়ানোর উপায়

সমাধানবর্তমান সময়ের সব মডেলের ল্যাপটপই ২ থেকে শুরু করে ১০ ঘন্টা পর্যন্ত ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে কোম্পানী যা বলে তা পাওয়া যায় না,মানে ব্যাকআপ টাইম যতটা বলা হয়েছিল ততোটা পাওয়া যাচ্ছে না। কিভাবে আপনি আপনার ল্যাপটপের ব্যাটারিটিকে আরেকটু বেশিক্ষণ বাঁচিয়ে রাখতে পারেন তার কয়েকটি উপায় হচ্ছে-

1. আপনি কোন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করছেন তার উপরও ব্যাকআপ টাইম নির্ভর করবে। আপনার ল্যাপটপ যদি বেশি পুরানো না হয়ে থাকেতাহলে উইন্ডোজ এক্সপি বা ভিসতার চেয়ে আপনি সেভেন ব্যবহার করলে বেশিক্ষণ ব্যাকআপ পাবেন

2. কন্ট্রোল প্যানেলের পাওয়ার সেটিং এর ভেতর আপনি এ সংক্রান্ত সবকিছুই পাবেন। ব্যাটারি দিয়ে চালাতে এটিকে সবসময় পাওয়ার সেভার অপশন সিলেক্ট করে রাখুন

3. ব্যাটারিতে ডিসপ্লের ব্রাইটনেস কখনোই ৫০% এর বেশি ব্যবহার করবেন না।

4. নেটওয়ার্কিং এন্ড শেয়ারিং সেন্টারে গিয়ে ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক কানেকশন বা ওয়াই-ফাই ডিজাবেল করে দিন। ল্যাপটপে ব্লুটুথ ফাংশন প্রয়োজন ছাড়া অন করবেন না।

5. ব্যাটারিতে কাজ করার সময় ভিডিও দেখা বা গান শোনা থেকে বিরত থাকুন

সমস্যার ধরণকম্পিউটার পরিচালনা

76. সিআরটি নাকি এলসিডি মনিটর-কোনটি ভালো?

সমাধান: নিঃসন্দেহে সিআরটির চেয়ে এলসিডি অনেক ভালো মনিটরএটির ছবি যে সুন্দর শুধু সেটাই না এর দ্বারা আপনার চোখের ক্ষতি হবার সম্ভাবনাও নেইআর এর বিদ্যুৎ খরচ সিআরটির তুলনায় অনেক কম। সর্বোপরি এলসিডি মনিটরে জায়গা অনেক কম লাগে এবং এতে স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে কাজ করা যায়

সমস্যার ধরণঅন্যান্য হার্ডওয়্যার

77. ডুয়েল বুটে ডিফল্ট অপারেটিং সিস্টেম নির্বাচন

সমাধান:

অনেকেই ডুয়েল বুট করে একই কম্পিউটারে দুইটি অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে থাকেন। আপনারা যদি চান তাহলে এর মধ্যে যেকোনো একটি ডিফল্ট অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে সেট করে নিতে পারেন যাতে প্রতিবার কম্পিউটার চালু করলে অটোমেটিকালি সেটাই চালু হয়এজন্য-

1. মাই কম্পিউটারে রাইট ক্লিক করে প্রোপার্টিজে যানএডভান্সড সিস্স্টেম সেটিংস-এ যান

2. এডভান্সড ট্যাব থেকে স্টার্ট আপ এন্ড রিকভারিতে যানডিফল্ট অপারেটিং অপারেটিং সিস্টেম ঠিক করে দিন

3. এবার নিচের টাইম টু ডিসপ্লে লিস্ট অফ অপারেটিং সিস্টেমসসময় ৩০ সেকেন্ড থেকে কমিয়ে ১ বা ২ সেকেন্ড করে দিতে পারেনএর মানে আপনি বুটিং সময় অন্য অপারেটিং সিস্টেমে যেতে চাইলে এই পরিমাণ সময় পাবেন। চাইলে তাই এটিকে বাড়িয়ে ৫/১০ সেকেন্ডও করে রাখতে পারেন

সমস্যার ধরণ: অপারেটিং সিস্টেম

78. ডাটা ক্যাবল ছাড়াই মোবাইলে ডাটা ট্রান্সফারের উপায়

সমাধান:

বর্তমানে মোবাইল ফোন, ডিজিটাল ক্যামেরা এবং এমপিথ্রি বা এমপিফোর প্লেয়ার সব ঘরে ঘরেই আছে। এর প্রায় সবগুলোই ইউএসবি ২.০ সাপোর্ট করে। অর্থাৎ কোনো ড্রাইভার ইনস্টল ছাড়াই ডাটা আদান প্রদান করতে সক্ষম। কিন্তু যদি আপনার মোবাইলের সাথে কোনো ডাটা ক্যাবল না থাকে তাহলে নিম্লিখিত ২টি উপায়ে আপনি ডাটা ট্রান্সফার করতেপারবেন-

1. কার্ড রীডারের মাধ্যমে খুব সহজেই পেন ড্রাইভের মতো ডাটা আদান প্রদান করা সম্ভব। যা সময় ও ঝামেলা দুইই কমায়। তবে এজন্য আপনার মোবাইল ফোনকে মেমোরি কার্ড সাপোর্টেড হতে হবে। আর দরকার হবে একটি কার্ড রীডার(দাম ৫০-২০০ টাকা) সেখানে মেমোরি কার্ড ঢুকিয়ে আপনি পিসিতে লাগাতে পারবেন

2. আপনার ফোন মেমোরি কার্ড সাপোর্টেড হয় তবে আপনার জন্যআরেকটি অপশন হচ্ছে ব্লুটুথ অ্যাডাপ্টরের ব্যবহারএর মাধ্যমেও আপনি কোনো ক্যাবল ছাড়াই পিসি থেকে ফোনে ডাটা সেন্ড করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে অনেক সময় ড্রাইভার লাগতে পারে। উইন্ডোজ সেভেনে অবশ্য ড্রাইভার ইন্সটলেশনের ঝামেলা নেইব্লুটুথ এডাপ্টারও আপনি ২০০-৩০০ টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন

কার্ড রীডার এবং ব্লুটুথ এডাপ্টারের সুবিধা হচ্ছে এগুলা আপনি যেকোনো কোম্পানীর যেকোনো মোবাইলের সাথেই ব্যবহার করতে পারবেন

সমস্যার ধরণমোবাইল ফোন

79. পিসির গতি বাড়ানোর সহজতম উপায় কি?

সমাধান:

কম খরচে হার্ডওয়ার আপগ্রেড করে পিসির গতি বাড়াতে চাইলে র‍্যাম বাড়ানোটাই হবে বুদ্ধিমানে কাজপিসির র‌্যাম মেমোরি যত বেশি হবে আপনার কাজও তত দ্রুত হবে এই কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। কেননা পিসি চলাকালীন সময়ে যত কাজ হয় তার সবকিছুই ট্রান্সমিট হয় র‌্যামের মধ্য দিয়ে। এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই র‌্যাম মেমোরি বাড়ালে উইন্ডোজের পারফরম্যান্স এ পরিবর্তনটা ঈর্ষণীয় পর্যায়ের। তবে খেয়াল রাখবেন নতুন র‌্যামটি যেন আপনার পুরাতন র‌্যামের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বাসস্পিড বিশিষ্ট হয়। নাহলে সিস্টেম হ্যাং করতে পারে। আর চেষ্টা করবেন বেশি বাসস্পিডের র‌্যাম কিনতে। বর্তমানে বাজারে ডিডিআর২ ৫৩৩, ৬৬৭, ৮০০,১০৬৬ এবংডিডিআর৩ ১০৬৬১৩৩৩ মেগাহার্জ স্পিডের র‌্যাম পাওয়া যাচ্ছে। আর আপনার মাদারবোর্ড যদি ডুয়েল চ্যানেল মেমোরি সাপোর্টেড হয় তাহলে র‌্যাম একটির বদলে দুটি কিনে র‌্যাম দুটি একই রঙের স্লটে স্থাপন করুন। এতে বর্ধিত বাসস্পিড পাবেন আপনি।

সমস্যার ধরণহার্ডডিস্ক, সিডি রম, RAM

80. কম্পিউটারের ভার্চুয়াল মেমোরি কি?

সমাধান:

উইন্ডোজ এক্সপি,ভিসতা এবং সেভেন আপনার হার্ডডিস্কে ডাটা সংরক্ষণের জন্য একটি বিশেষ পেজিং ফাইল ব্যবহার করে। যখন পিসিতে অনেকগুলো এপ্লিকেশন একত্রে রান করে এবং আপনার র‌্যামের পরিমাপ এতগুলো কাজ একসাথে করতে পর্যাপ্ত না হয় তখন র‌্যামের বদলে সাময়িকভাবে উইন্ডোজ ওই পেজিং ফাইলের স্পেস র‌্যাম হিসেবে ব্যবহার করে। কিন্তু হার্ডডিস্ক র‌্যামের চেয়ে এটি অনেক মন্থর গতিতে কাজ করে।

সমস্যার ধরণহার্ডডিস্ক, সিডি রম, RAM

Share:

0 comments:

Post a Comment

Search This Blog

S AhameD. Powered by Blogger.

Contact Form

Name

Email *

Message *

Wikipedia

Search results

Translate

Blog Archive

Recent Posts

Unordered List

Pages

Theme Support