অনলাইন আয়ের ২৫টি উপায়
আইটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে বাড়ছে ফ্রি-ল্যান্সারদের সংখ্যা। অনেকেই নতুনভাবে আগ্রহী হচ্ছেন ফ্রি-ল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং এ । সঠিক তথ্যের অভাবে অনেকেই সঠিকভাবে শুরু করতে পারেন না । যারা নতুনভাবে ফ্রি-ল্যান্সিং শুরু করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই পোষ্টটি।
১. একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরী করুন এবং অ্যাডভার্টাইজিং নেটওয়ার্ক যেমন গুগল অ্যাডসেন্স বা ক্রয়বিক্রয়(buysell) অ্যাড এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন। আপনি চাইল গুগল ডাবলক্লিক এর মাধ্যমেও সরাসরি আয় করতে পারেন।
২.মেইলচিম্পের মাধ্যমে ইমেইল নিউসলেটার সেল করে আয় করতে পারেন। স্পন্সর বা সাবস্ক্রাইবার খুজে বের করতে হবে । যেখানে ভিজিটররা নিউসলেটার পাওয়ার জন্য টাকা দিয়ে সাবস্ক্রাইব করবে। HackerNewletter, NowIKnow এবংLaunch.co এই ধরনের কাজের ভাল উদাহরণ হতে পারে।
৩. নিজের ইউটিউব চ্যানেল খুলুন এবং ইউটিউবের পার্টনার হয়ে যান। আপনি Oneload সাইটটি ব্যবহার করে আপনার ভিডিওটি অনেক সাইটে ছড়িয়ে দিতে পারেন।
৪. সৃজনশীল কিছু তৈরী করুন যেমন হ্যান্ডবেগ জুয়েলারি পেইন্টিং বা কুটিরশিল্প ইত্যাদি এবং তা বিক্রয় করতে পারেনইটসি, আর্টফায়ার বা ই-বে তে বিক্রয় করতে পারেন।
৫.টি-শার্টের ডিজাইন করুন এবং থ্রেডলেস, জাজে বাক্যাফেপ্রেস এ রাখুন। আর বিক্রয় করুন।
৬.নিজের অনলাইন স্টোর তৈরী করুন তা নিজস্ব ডোমেইন বা সপিফাই (shopify),স্কয়ার (লিংক: http://www.squarespace.com )স্পেস এ হতে পারে। যেকোন বস্তু খাবার থেকে শুরু করে ডিজিটাল পণ্য সবই সেল করতে পারেন।
৭.যে কোন বিষয়ের উপর বই লিখুন। তা কিন্ডেল স্টোর , গুগল, বা আইবুক এ প্রকাশ করুন। আপনি চাইলে ই বুক হিসাবে অন্য রিটেইলার দের কাছে ও বিক্রয় করতে পারেন। অন্য রিটেইলার বিক্রয়ের জন্য স্মাশউড ( Smashwoods )বা বুকবেবি (BookBaby) ব্যবহার করতে পারেন।
৮. ইউডেমি Udemy বা স্কিল শেয়ারের SkillShare শিক্ষক হিসাবে যোগদান করুন আপনার প্রিয় বিষয় নিয়ে টিউটোরিয়াল তৈরী করুন। গিটার থেকে শুরু করে সাহিত্য ইয়োগা থেকে বিদেশী ভাষা যেকোন কিছু আপনি আন্তর্জাতিকভাবে শেখাতে পারেন।
৯. কোডিং শিখুন । গুরু Guru , ই-ল্যান্স eLance , আপওয়ার্ক , বি-ল্যান্সার এর মত মার্কেট প্লেস এ সফট্ওয়ার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টে কাজ করুন।
১০. ভার্চুয়াল অফিস অ্যাসিস্টেন্ট হিসাবে প্রশাসনিক বা টেকনিক্যাল কাজে দুরবর্তী সহায়তা করতে পারেন। এক্ষেত্রে ই-ল্যান্স, টাস্কর্যাবিট TaskRabbit বা আপওয়ার্ক এ প্রচুর কাজ পাবেন।
১১.স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসাবে যেমন কোন ব্রাউজার এর এক্সটেনশন প্লাগিন,মোবাইল অ্যাপস (অ্যান্ড্রয়েড বা আইফোন) তৈরী করে আয় করুন । এক্ষেত্রে কোডকেনিওন CodeCanyon , চুপাChupa বা বিনপ্রেস BinPress এ আপনার কোডটি বিক্রয় করে আয় করতে পারেন।
১২. খুব সাধারণ কম্পিউটার জব যেমন ডাটা এন্ট্রি জব, ট্রান্সক্রাবিং কিংবা ভিজিটিং কার্ড তৈরী করে আয় করতে পারেন। এজন্য মেকানিক্যাল টার্ক Mechanical Turk ব্যবহার করতে পারেন।
১৩. সৃজনশীল কাজ যেমন লোগো ডিজাইন,ব্যানার ডিজাইন,ওয়েব ডিজাইন অন্যান্য মার্কেটিং এর উপাদানগুলো তৈরী করে অনলাইনে আয় করা সম্ভব। এক্ষেত্রে ৯৯ডিজাইন99Designs , ক্রাউডস্প্রিং CrowdSpring , ডিজাইনক্রাউডেরDesignCrowd মত সাইটগুলো থেকে আয় করা যায়।
১৪. আপনার কি ভাল কন্ঠ আছে। আপনার যদি ইংরেজীতে জড়তা না থেকে থাকে তবে উমানো, ভয়েসবানী VoiceBunny , ভয়েস১২৩ Voice123 ভয়েস আর্টিষ্ট হিসাবে কাজ করে আয় করতে পারেন।
১৫.অনেকেই আছেন যারা ভাল গান করেন। আপনি যদি ভাল গান করে থাকেন অ্যামাজন এমপিথ্রি, আইটিউন , প্যান্ডোরা,স্পটিফাই এর গান গুলো বিক্রয় করতে পারেন। এজন্য ডিস্ট্রোকিড DistroKid , টিউনকোর Tunecore, লাউডার এফএম loudr.fm বা সিডিবেবির CDBaby সাহায্য নিতে পারেন। আপনি চাইলে সরাসরি আপনার অডিও ফাইল গুলো অডিও জংগল AudioJungle, পন্ড৫ Pond5 বিক্রয় করতে পারেন।
১৬. অ্যামাজন Amazon বা অন্যান্য অনলাইন স্টোরের অ্যাফিলিয়েটর হিসাবে অনেক ভাল আয় করা সম্ভব। এক্ষেত্রে ভিজিলিংক Vigilink, শেয়ারএসেল ShareASale, কমিশন জাংশন CJ বা লিংক শেয়ার LinkShare এর মত সাইটগুলো অনেকভাল কাজ করে।
১৭. অনলাইনে টিউশন এর মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। যেখানে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া,ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য করার কাজ পাওয়া যায়।টিউটর ডট কম Tutor.com, ইন্টাএডু InstaEdu, টিউটোরিয়াল ভিসা TutorVista এর মত সাইটে খুব সহজেই অনলাইন শিক্ষক হওয়ার আবেদন করে অনলাইনে টিউশন করতে পারেন।
১৮. বিদেশীদের জন্য বাসা ভাড়া দিয়েও আয় করা যায়। আপনার ঘরে যদি খালি জায়গা থাকে তাহলে আপনার কি কি জিনিসপত্র আছে আজই লিষ্ট তৈরী করে ফেলুন। এয়ারবিএনবিAirbnb কুসসার্ফিং Couchsurfing আপনাকে সাহায্য্ করবে।
১৯.আপনি কি ফটোগ্রাফি করেন,আপনার ফটোগ্রাফি যদি ভাল হয় তবে ক্রিয়েটিভ মার্কেট Creative Market ,ফটোদুনPhotoDune, আইস্টকফটো iStockPhoto , ইমেজ এম্বেডেডImgEmbed এ আপনার তোলা ছবি গুলো বিক্রয় করতে পারেন।
২০. পুরোনো অব্যবহৃত জিনিসপত্র,শিশুদের খেলনা, দুর্লভ বই বা অতি প্রাচীন বা শখের বস্তুগুলো খুব সহজে বিক্রয় করতে পারেন ইবে, ক্রেগলিষ্ট,বিক্রয় ডট কম, কিংবা সেলবাজার এর মত সাইটে বিক্রয় করতে পারেন।
২১. আপনি একজন ওয়েবসাইট ব্যবহার কারী হিসাবেও আয় করতে পারেন। যে কোন ওয়েবসাইট টেষ্ট করুন, সুন্দর রিভিউ লিখুন একজন ব্যবহারকারী হিসাবে সাইটের সুবিধা অসুবিধাগুলো লিখে আয় করুন। ইউজারটেস্টার UserTestingসাহটের সাহায্যে আয করুন।
২২.আপনি হয়ত বিভিন্ন সময় আপনার বন্ধু বান্ধবদের টেকনোলজির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাহায্য করেছেন। তাহলে অনলাইনে কেন নয় ? স্কাইপে স্ক্রিন শেয়ার, বা গুগল ক্রোমের দুরবর্তী স্ক্রিন শেয়ারের মাধ্যমে টেকনোলোজি সাপোর্ট দিয়ে খুব সহজে আয় করতে পারেন।
২৩.ফিভার Fiverr ও পিপলস পার আওয়ার PeoplePerHourএ অ্যাকাউন্ট করুন । এখানে সারা বিশ্বের অনেক বায়াররা বিভিন্ন ধরনের কাজ দিয়ে থাকে। এখানে অনুবাদের কাজ থেকে শুরু করে গ্রাফিক্স ডিজাইন এসইও এবং অন্যান্য কাজ পাওয়া যায়।
২৪.আপনি আপনার ওয়েবসাইট পুন বিক্রয় করেও আয় করতে পারেন। ফ্লিপপা Flippa , গো-ড্যাডি অকশন GoDaddy Auctions , সিডো Sedo ইত্যাদি সাইটে আপনি আপনার ওয়েবসাইট পুনরায় বিক্রয় করতে পারেন ।
২৫. সর্বশেষ আপনি অনলাইন ব্যতীত অফলাইনে যেসকল ব্যবসার কথা চিন্তা করতে পারেন সবই অনলাইনে প্রয়োগ করা সম্ভব।
ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
ফ্রীলেন্সিং এর জগতে হাতে খড়ি দিতে প্রয়োজন অনেক সাধনা, ত্যাগ আর ধৈর্য। এর কোনটি আপনি ধরে রাখতে না পারলে সফল হওয়া সম্ভব নয়। অনলাইনে আয়ের জন্য অনেক আগ্রহ থাকা সত্বেও কিছু ভুল ধারণা মনে বাসা বেধে থাকার কারণে মাঝ পথে গিয়ে অনেককেই ফিরে আসতে হয়... চলুন দেখে নেই অনলাইনে আয় করতে গেলে কি কি প্রতিবন্ধকতা আসতে পারে।
ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে গেলে যে বিষয়গুলো আপনাকে মেনে চলতে হবে...
১. ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে গেলে প্রথমেই অনেক বড় ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হবে এমন মানসিকতা নিয়েই কাজ শুরু করতে হবে ।
২. প্রথমেই যে কোনো মার্কেট প্লেসে একাউন্ট করতে হবে, odesk, freelancer এবং elance পৃথিবীর সবচেয়ে পপুলার আউট সোর্সিং মার্কেট প্লেস ।
৩. কখনোই মনে করে যাবেনা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেই রাতারাতি বড় লোক হয়ে যাব ।
৪. অনলাইনে আয় করার অনেক পথ আছে, আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে গিয়ে ভাবতে পারবেননা এ পথে সফল হওয়া অসম্ভব। তাহলেই কাজের শুরুতেই আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবেন । ৫. কোনো মার্কেট প্লেসে একাউন্ট করে আপনি সাথে সাথে কাজ পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী হবেন এটা স্বাভাবিক কিন্তু কাজ না পেলে আশাহত হয়ে বিড করা ছেড়ে দিবেন এমন ভাবনা মন থেকে বাদ দিন ।
৬. আপনি কাজের জন্য যে বিড করবেন তা যেন গ্রহণযোগ্য হয়, মিনিমাম ৩ ডলার রাখুন আওয়ার লি রেইট আর সর্বোচ্চ রেইট আপনার কাজের দক্ষতা অনুযায়ী দিবেন, মিনিমাম রেইট এর নিচে দিলে আপনার মাধ্যমেই মার্কেট খারাপ হয়ে যাবে এটা নিশ্চিত । অবশ্য এখন এই রেইটটাই ডিফল্ট হিসেবে গন্য ।
৭. আপনার টাকার চেয়ে মার্কেটপ্লেসে ফীডব্যাকের গুরুত্ব বেশী এটা হাইলাইট করুন । আর অবশ্যই বায়ারের বাজেটের মধ্যে বিড করতে হবে ।
৮. যারা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছে, তারা শুধু এটা শুরু করেই ক্ষান্ত হয়নি, পাশাপাশি চেষ্টা করেছে ব্লগিং এফিলিয়েট মার্কেটিং কিংবা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইমাইজেশন এর কাজ, আপনিও একই নীতি এপ্লাই করুন সফল হলে আপনিই বুঝতে পারবেন অনলাইনে আয় করা আপনার জন্য কিভাবে সহজ এবং কোন পথ আপনার জন্য কার্যকরী।
৯. কাজের জন্য বিড করতে গিয়ে কভার লেটার অবশ্যই আকর্ষনীয় করে লিখবেন, বায়ারকে সম্বোধন করবেন স্যার কিংবা ডিয়ার হায়ারিং ম্যানাজার এভাবে, আপনি কাজটি করতে পারেন এবং করতে আগ্রহী তা বুঝিয়ে বলবেন, এর বেশি কথা বলতে যাবেননা।
১০. একটি কভার লেটার বারবার কপি করে সেটা সব জায়গায় পেস্ট করবেননা তাহলে কাজ পাওয়ার যে সম্ভাবনা থাকবে সেটাও হারাবেন ।
১১. সাধারণত কাজ পাওয়ার মুখ্য সময় গভীর রাত অর্থাত রাত ১টা থেকে ৪টা, এ সময়ে কাজ বেশি পোস্ট হয়, তাই এ সময় এপ্লাই করলে কাজ পেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে, অন্য সময় এপ্লাই করতে গেলে দেখবেন আপনি এপ্লাই করার আগেই আরো অনেকজন করে ফেলেছে, এর মধ্যে হায়ার হয়েছে কয়েকজন আর ইন্টারভিউতে কল পেয়েছে আরো কয়েকজন, আর তাই সেখানে আপনার সম্ভাবনা অতি নগন্য।
১২. পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড এমন বায়ার দেখেই কাজের জন্য এপ্লাই করবেন, এছাড়া অন্য বায়ারদের গ্যারান্টি নেই, আপনাকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিয়ে ভাগতে পারে ।
১৩. ই-মেইল মার্কেটিং, আর্টিকেল রাইটিং, ফোরাম পোস্টিং, ওয়েব রিসার্চ, এফিলিয়েট মার্কেটিং, কপি পেস্ট, ডাটা এন্ট্রি এর মত কাজগুলো করার জন্য আপনার পর্যাপ্ত দক্ষতা থাকার প্রয়োজন। নেই । ফিক্সড টাইমের কাজগুলোর পেমেন্টের নিশ্চয়তা কম আর এক্ষেত্রে পেমেন্ট নিতে হবে কাজের শেষে, ঘন্টাভিত্তিক কাজে পেমেন্ট ঘন্টায় ঘন্টায় পাবেন ।
১৪. Microworkers এ রেজিস্ট্রেশন করুন, এখানে ছোট ছোট কাজ করে আয় করতে পারেন। বিভিন্ন রেইটের কাজ করে এখানে ব্যালেন্স জমা হতে হতে যখন বড় একটি এমাউন্ট হবে তখন আপনি তোলার চিন্তা করবেন । এটির মত আরো কিছু সাইট আছে অনলাইনে, আপনি সেগুলো ও চেষ্টা করতে পারেন, যদি বড় মার কেট প্লেস গুলো আপনার জন্য সুবিধা জনক মনে না হয়...
সর্বোপরি...
যে কোনো ক্ষেত্রে সফল হবার জন্য পরিশ্রম করতে হয়, অযথা সাফল্য এসে হাতে ধরা দিবেনা, আপনিও যে পথে আগ্রহী, অনলাইনে আয়ের যে বিষয়গুলো আপনার ভালো লাগে সে বিষয়গুলো আপনি নিয়মিত স্টাডি করুন, এ পথে সময় দিন, লেগে থাকুন, আউট পুট অবশ্যই পাবেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
আর্টিকেল লিখে আয়
ওডেস্ক, ইল্যান্স, ফ্রিল্যান্সার ডটকমের পাশাপাশি আরও অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আর্টিকেল লিখে ভালো আয় করা যায়। জনপ্রিয় এই মার্কেটপ্লেস ছাড়াও আরও কিছু মার্কেটপ্লেস রয়েছে সেগুলো আর্টিকেল লিখে ভালো আয় করা যায়। এই রকম না জানি তিনটি ওয়েবসাইট সম্পর্কে তুলে ধরা হলো।
স্কুইডু (Squidoo.com)
পেইজ ও আর্টিকেল প্রকাশ করার ক্ষেত্রে এটি একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। বিভিন্ন ধরণের আর্টিকেল লিখে এই ওয়েবসাইট থেকে আয় করা যায়। এটার একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্লাটফর্মও রয়েছে, যার মাধ্যমে কনটেন্টগুলো লাখ লাখ মানুষের কাছে শেয়ার করা যায়। যখনই কোনো ব্যবহারকারীর লেখা জনপ্রিয় হতে শুরু করবে তখনই আয় শুরু হবে
ই-কপিরাইটার্স (ecopywriters.com)
অনলাইনে লেখালেখি করে আয় করার আরেকটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলো ই-কপিরাইটার্স। মূলত যারা কনটেন্ট রাইটিংয়ে দক্ষ তাদের জন্যই এই ওয়েবসাইটটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এটি অন্যান্য ওয়েবসাইটের তুলনায় বেশি পে করে থাকে।
ট্রিওন্ড (triond.com)
কনটেন্ট লিখে আয় করার সবচেয়ে পুরাতন ও সুপরিচিত ওয়েবসাইট হলো ট্রিওন্ড। ভালোমানেন কনটেন্ট হলে এই ওয়েবসাইটে দ্রুত সেটি প্রকাশ করা হয়। এটিও জনপ্রিয়তার ভিত্তিকে লেখককে পে করে থাকে।
এছাড়া লেখালেখির কাজটা একটি শিল্পিক কাজ। অনেক ধৈর্য এবং সময় নিয়ে করতে হয়। তাই হয়ত অনেক টপিক ভুলে যেতে পারেন লেখালেখি করতে গিয়ে।তবে ভালোভাবে ও সহজে কাজ করতে চাইলে দক্ষতার পাশাপাশি টুলসের ব্যবহার জানাও জরুরী। টুলস একদিকে যেমন বিভিন্ন তথ্যের উৎস, তেমনিভাবে কাজের ক্ষেত্রে অনেক সহায়ক। আর্টিকেল রাইটার কিংবা ফ্রিল্যান্স রাইটারদের জন্য সহায়ক এমনই অনেক টুলস রয়েছে। যেমন: রাইটিং ডটকম, গুগল ক্যালেন্ডার, এভারনোট ইত্যাদি।
টুইটারে আয়
টুইটারের আরেকটি মজার ব্যাপার হচ্ছে, আপনার যদি প্রচুর সংখ্যক ফলোয়ার বা অনুসারী থাকে, তাহলে আপনি টুইটার থেকে টাকা আয়েরও ব্যবস্থা করতে পারবেন। অবশ্য কাজটি মোটেই সহজ নয়। শুধু ফলোয়ার থাকলেই হবে না, আপনার থাকতে হবে হিউম্যান ফলোয়ার। অর্থাৎ, বট ফলোয়ার থাকলে আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে টুইটার থেকে টাকা আয়ের উদ্দেশ্যে সাইন আপ করতে পারবেন ঠিকই, তবে টাকা তেমন একটা আসবে না। কেননা, বট আপনার লিংকে ক্লিক করলেও সে রেজিস্ট্রেশন করবে না।
যাই হোক, আসুন জেনে নিই ৪টি ওয়েবসাইটের কথা যারা আপনাকে আপনার টুইটার একাউন্ট থেকে টাকা আয়ের ব্যবস্থা করে দিতে পারে।
Sponsored Tweets
পাঠকদের মধ্যে কেউ যদি IZEA Inc. এর নাম শুনে থাকেন, তাহলে বুঝতেই পারবেন স্পনসর্ড টুইটস কোম্পানিটির অবস্থান। আইজিয়া ইনকর্পোরেটেড অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে একটি বিশাল মার্কেট ধরে রেখেছে। বেশ কয়েকটি সমৃদ্ধ মার্কেটপ্লেসও রয়েছে এদের। তাই প্রথম যখন আইজিয়া কর্তৃক sponsored tweets এর ঘোষণা দেয়া হয়, তখন মোটামুটি নাড়া পড়ে যায় ইন্টারনেট জগতে।
স্পনসর্ড টুইটস প্রতিটি সফল আপডেটের জন্য বরাবর ১ ডলার দিয়ে থাকে। তবে আপনি চাইলে যেকোনো সময় এই দাম কমাতে বা বাড়াতে পারবেন। উল্লেখ্য, দাম কম রাখাই ভালো, কেননা এতে করে বিজ্ঞাপনদাতা বেশি পাওয়া যায়। যখনই কোনো বিজ্ঞাপনদাতা আপনার টুইটার স্ট্রিমে বিজ্ঞাপন দিতে চান, আপনাকে তা ইমেইল করে জানানো হয়। আপনি ইচ্ছেমতো তা গ্রহণ বা বর্জন করতে পারবেন। প্রয়োজনে টুইটারের মেসেজটি নিজে নিজে লিখে নিতে পারবেন।
আপনি কোনো বিজ্ঞাপন গ্রহণ করলে তা দশ থেকে পনেরো মিনিটের মধ্যেই আপডেট হবে এবং আপনার একাউন্টে পরবর্তী চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই তার টাকা জমা হবে।
স্পনসর্ড টুইটস আপনাকে পেপালের মাধ্যমে টাকা দিয়ে থাকে। সর্বনিম্ন ৫০ ডলার হলে আপনি টাকা তুলতে পারবেন। এছাড়াও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের সুবিধাতো রয়েছেই।
ad.ly
ad.ly হঠাৎ করেই বেশ নাড়া ফেলে দিয়েছে ইন্টারনেট জগতে। এটি প্রায় নতুন একটি টুইটার অ্যাডভার্টাইজিং কোম্পানি। এদের কনসেপ্টও কিছুটা ভিন্ন। এরা আপনাকে সপ্তাহব্যাপী ক্যামপেইন অফার করবে। অর্থাৎ, টানা এক সপ্তাহের জন্য আপনি টাকা পেয়ে যাবেন যার বিনিময়ে প্রতিদিন আপনার একাউন্ট থেকে একটি করে স্ট্যাটাস আপডেট করা হবে। এক্ষেত্রে সপ্তাহব্যাপী ক্যামপেইনের জন্য কত টাকা নিবেন তা আপনাকেই নির্ধারণ করতে হবে। তবে ভয়ের কোনো কারণ নেই। আপনি যদি বুঝতে না পারেন কত টাকা অফার করা উচিৎ, ad.ly আপনাকে সাহায্য করবে।
ad.ly-এ রেজিস্ট্রেশন করে আপনাকে সুযোগ এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। সাধারণত প্রচুর সংখ্যক সক্রিয় ফলোয়ার না থাকলে এই কোম্পানি থেকে বিজ্ঞাপনদাতা পাওয়া যায় না। যদি আপনি পেয়ে যান, সেক্ষেত্রে আপনি তা গ্রহণ করতে পারবেন। গ্রহণ করার সময়ই আপনাকে নির্ধারণ করে দিতে হবে উইকলি ক্যামপেইনে আপনি কত দাবি করবেন। সেই মূল্য বিজ্ঞাপনদাতার কাছে যাবে এবং তারা যদি সম্মতি দেন, তাহলেই আপনার টুইটার একাউন্টে টানা ৭ দিন প্রতিদিন একটি করে স্পনসর্ড টুইট আপডেট হতে থাকবে।
ad.ly এর ওয়েবসাইট ঘেঁটে কত টাকা আয় হলে তা উঠানো যায় এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে পেপালের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করে থাকে কোম্পানিটি।
be-a-magpie
be-a-magpieসাইটে রেজিস্ট্রেশন করার পর আপনার একাউন্টের অ্যাকসেস দিয়ে দিতে হবে এই সাইটটিকে। একসেস না দিলেও চলবে তবে একসেস দিয়ে দেয়াটাই ভালো। এর ফলে আপনাকে যখনই কোনো বিজ্ঞাপনদাতা sponsored tweet দিতে আগ্রহী হবে, তখনই বি-এ-ম্যাগপাই এটিকে লাইনে দাঁড় করিয়ে দিবে এবং সময়মতো আপডেট করে দিবে। উল্লেখ্য, আপনি চাইলে অবশ্যই প্রতিটি স্পনসর্ড টুইট আপডেট হওয়ার আগে দেখে নিতে পারবেন। এছাড়াও কতটি টুইটের বিপরীতে একটি করে স্পনসর্ড টুইট আপডেট হবে, তাও সিলেক্ট করে দিতে পারবেন আপনি। ন্যূনতম ৫টি আপডেট/১টি স্পনসর্ড টুইট হচ্ছে ratio।
বি-এ-ম্যাগপাই-এ তিন ধরনের স্পনসর্ড টুইট থাকে। পে-পার-ভিউ, পে-পার-ক্লিক এবং পে-পার-অ্যাকশন। নাম শুনেই নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কোন ধরনের টুইটের কী কাজ। আপনি এগুলোর যেকোনো একটি সিলেক্ট করে রাখতে পারেন অথবা সবগুলোকেই allow করে রাখতে পারেন। পছন্দ আপনার। বি-এ-ম্যাগপাই আপনাকে পেপালের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করবে। এ জন্য আপনার ন্যূনতম ব্যালেন্স হতে হবে ৫০ ডলার। আপনি আপনার ব্যালেন্স দিয়ে প্রয়োজনে বি-এ-ম্যাগপাই নেটওয়ার্কে অ্যাডভার্টাইজিংয়ের কাজেও লেগে যেতে পারেন। এছাড়াও রেফারাল অপশন তো রয়েছেই।
RevTwt
www.revtwt.com অনেকটা বি-এ-ম্যাগপাই-এর মতোই। প্রতিটি ভ্যালিড ক্লিকের জন্য রেভিনিউ টুইট দিয়ে থাকে ০.০৪ ডলার থেকে ০.২০ ডলার। বিজ্ঞাপনী টুইট আপডেট হওয়ার আগে চাইলে আপনি দেখে নিতে পারবেন আপনার ড্যাশবোর্ড থেকে। এছাড়াও ইচ্ছে করলে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতেও বিজ্ঞাপনী টুইট পাওয়ামাত্র আপডেট করতে পারবেন আপনি।
রেভিনিউ টুইট পেপালের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করে থাকে। আপনার ব্যালেন্স ন্যূনতম ২০ ডলার হলেই আপনি টাকা পেয়ে যাবেন। এছাড়া চেকের মাধ্যমেও টাকা দিয়ে থাকে রেভিনিউ টুইট। সেক্ষেত্রে আপনাকে আপনার ব্যালেন্স ১০০ ডলার হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
লক্ষ্যণীয়
টুইটার থেকে আয়ের ব্যাপারটি এখনও প্রায় নতুন। যেহেতু বাংলাদেশে এখনো টুইটার ততোটা জনপ্রিয়তা পায়নি, তাই প্রাথমিক দৃষ্টিতে এটিকে স্বপ্নের মতোই মনে হতে পারে। টুইটার থেকে বড় অংকের টাকা আয় করা সম্ভব। আমেরিকান সেলিব্রেটি Kim Kardashian তার প্রতিটি টুইট এর মাধ্যমে ad.ly থেকে $10,000 পান। তবে এটাকে আপনি অপ্রত্যাশিত আয় বলে ধরে রাখতে পারেন। কারন Kim Kardashian এর যেখানে ২০ লাখ এর বেশি ফলোয়ারস রয়েছে, সেখানে কয়েকশো ফলোয়ার্স দিয়ে আয় করার চিন্তাটা বোকামি। তবে ধীরে ধীরে বিপুল সংখ্যক সক্রিয় ফলোয়ার পেলে আপনিও আয় করতে পারেন টুইটার থেকে।
ফরেক্স ইনকাম
ফরেক্স কি?
ফরেক্স অথবা স্পট ফরেক্স হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার ক্রয়-বিক্রয়। ফরেক্স মার্কেট এ আপনি একটি দেশের কারেন্সি বিক্রয় করে আর একটি দেশের কারেন্সি ক্রয় করতে পারবেন।
উদহারণসরুপ, আমেরিকা বা USA এর কারেন্সি হছে ডলার, ব্রিটেন বা UK এর কারেন্সি হচ্ছে পাউন্ড। ফরেক্স মার্কেট এ আপনি ডলার বিক্রয় করে পাউন্ড অথবা পাউন্ড বিক্রয় করে ডলার কিনতে পারেন। ডলার অথবা পাউন্ড ব্যাতিতও আর বিভিন্ন দেশের কারেন্সি আছে যা ফরেক্স মার্কেট এ আপনি ক্রয়-বিক্রয় করতে পারেন।
কিভাবে ফরেক্স মার্কেট থেকে আয় করা সম্ভব?
বিভিন্ন দেশের মুদ্রা সর্বদায় পরিবরতনশিল। আপনি পত্রিকায় দেখে থাকবেন যে কখনও কখনও ডলার টাকার বিপরীতে শক্তিশালী হচ্ছে, আবার কখনও টাকা ডলার এর বিপরীতে শক্তিশালী হচ্চে। এরকম পৃথিবীর অধিকাংশ মুদ্রার বিপরিতেই হয়। সুতরাং, আপনার যদি ডলার কেনা থাকে, ডলারের বিপরীতে ইউরো এর দাম পরে গেলে আপনি ডলার বিক্রয় করে ইউরো কিনে রাখতে পারেন। আবার, ইউরো ডলার এর বিপরীতে শক্তিশালী হলে, ইউরো বিক্রয় করে অধিক ডলার পেতে পারেন।
হয়ত আপনার কাছে ১০০ ডলার ছিলো যা বিক্রয় করে আপনি ৮০ ইউরো ক্রয় করেছিলেন। পরবর্তীতে ইউরোর দাম বাড়ার পর তা বিক্রয় করে ১২০ ডলার পেলেন। এভাবে আপনি আয় করতে পারেন। শেয়ার মার্কেট এ শুধু শেয়ার এর দাম বাড়লেই (buy) আমরা প্রফিট করতে পারি। কিন্তু ফরেক্স মার্কেট এ, কোন কারেন্সি শক্তিশালী অথবা দুর্বল হক, দুই ক্ষেত্রেই আমাদের প্রফিট করার সুযোগ আছে যেটা ফরেক্স মার্কেটের সবচেয়ে বড় সুবিধা।
আমি কিভাবে ডলার অথবা অন্যান্য মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় করব?
ফরেক্স ট্রেড করতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে কোনো একটি ফরেক্স ব্রোকারের সাথে অ্যাকাউন্ট ওপেন করতে হবে ও তাতে ডিপোজিট করতে হবে। অ্যাকাউন্ট খুব সহজেই ২ মিনিটে অনলাইনে ওপেন করা যায়। আপনি বিভিন্ন অনলাইন মুদ্রা যেমন পেপাল, অ্যালার্ট পে, লিবার্টি রিজার্ভ ইত্যাদি দিয়ে তাৎক্ষণিক আপনার আকাউন্টে ডিপোজিট করতে পারেন ও ফরেক্স ট্রেড করা শুরু করতে পারেন।
তবে সাধারনত অধিকাংশ মানুষই ব্যাংক এর মাধ্যমে ফরেক্স ব্রোকারদের সাথে ডিপোজিট করে। সেক্ষেত্রে, অ্যাকাউন্ট ওপেনিং এর পরে, আপনি আপনার ব্রোকারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং ব্যাংক ডিপোজিটের বিস্তারিত তথ্য পাবেন।
আপনার অ্যাকাউন্টে ডিপোজিট সম্পন্ন হলে আপনি ট্রেড করা শুরু করতে পারবেন। ফরেক্স ট্রেডিং অনলাইনে সফটওয়ারের মাধ্যমে করতে হয়। এই সফটওয়ার আপনি বিনামূল্যে আপনার ব্রোকারের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। সফটওয়ারটি ইন্সটল করে ব্রোকার প্রদত্ত ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে তাতে সাইন ইন করলেই বিভিন্ন পেয়ারের চার্ট ও মূল্যতালিকা লোড হবে এবং আপনি আপনার ট্রেড ওপেন/ক্লোজ করতে পারবেন।
গুগল অ্যাডসেন্স
অ্যাডসেন্স (adsense.com) হলো সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগল পরিচালিত একটি ওয়েব এডভারটাইজিং প্লাটফর্ম। এটি মূলত একটি লাভ-অংশিদারী প্রকল্প যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী তার ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত বিজ্ঞাপনের বিষয়বস্তুথেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। একটি ওয়েবসাইটের মালিক কিছু শর্তসাপেক্ষে তার সাইটে গুগল নির্ধারিত বিজ্ঞাপণ প্রদর্শন করতে পারেন এবং তা থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। বর্তমান অনলাইন বিশ্বে এই বিষয়টি ব্যপক সাড়া জাগিয়েছে। বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইনে আয়ের বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে যে পরিমান আয় আসে তার প্রায় ১২ শতাংশ আসে অ্যাডসেন্স থেকে। এক্ষেত্রে মূলত বিভিন্ন ব্লগ সাইটে গুগলের অ্যাডসেন্স বসিয়ে এ পরিমান আয় করেন বাংলাদেশি অ্যাডসেন্স পাবলিশাররা। ২০০৩ সালের ১৮ জুন সর্বপ্রথম গুগল অ্যাডসেন্স প্রকাশ করে।
অ্যাডসেন্সে আবেদনের সময় যেসকল বিষয় মাথায় রাখবেন ঃ
অ্যাডসেন্স এ আবেদন করার জন্য সর্বনিম্ন কতটি পোস্ট থাকতে হবে এই প্রশ্নের নির্দিষ্ট কোন উত্তর নেই। কিন্তু অবশ্যই ২০-২৫ টি অরিজিনাল কন্টেন্ট দিয়ে নিবেন এবং যেগুলোর ওয়ার্ড লিমিট নিয়ে খুব বেশি না ভাবলেও ইউজার যাতে ঐ বিষয়ের সম্পূর্ণ wh question সেই লেখা থেকেই পায়, সুতরাং এসব লিখতে যতটুকু লিখতে হয় লিখবেন। তবে মনে রাখবেন সর্বনিম্ন ২৮০-৩০০ ওয়ার্ডের নিচে জেনো না হয়।সাইটের বয়স বাড়তে দিন, আজকে সাইট খুলেই ১০/১২ টা লেখা দিলেন আর এপ্লাই করে ফেললেন সাথে এপ্রুভাল পাবেন এমন ভাবনা থেকে বেড়িয়ে আসুন। কারণ অপরিপক্ক মা থেকে যেমন বাচ্চা আশা করা যায় না, তেমন ই অপরিপক্ক সাইট থেকেও ভালো রেজাল্ট আশা করা বোকামি। সাইটের এজ প্রায়শই অনেক বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে।পোষ্ট গুলো লিখার সময় টপিক্স রিলেটেড মোটামুটি ভালো সিপিস আছে ও হাই কম্পিটেটিভ (এডওয়ার্ড অনুযায়ী) কিয়ার্ড টার্গেট করে পোষ্ট লিখবেন এতে করে গুগল আপনার সাইটে এড দিতে বেশ আগ্রহী হবে, এবং দ্রুত অ্যাডসেন্সের এপ্রুভাল পাওয়া যাবে।গুগল অ্যাডসেন্সে আপ্লাই করার পূর্বে অবশ্যই সব গুলো পোষ্ট যাতে সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পোষ্ট গুলোকে নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়া (বিশেষ করে গুগল প্লাস, টুইটার, ফেসবুক, স্টাম্বল, রেডিট, ফেসবুক, লিংকদিন ইত্যাদি ) এবং বুকমার্ক সাইট গুলোতে শেয়ার করতে হবে। এতে করে সাইটে ট্রাফিকও বেড়ে যাবে দিন দিন।পোষ্টে অতিরিক্ত কিওয়ার্ড ইউজ করে স্টাফিং করা যাবেনা। একটা টার্গেটেড পেজের জন্য প্রাইমারি কিওয়ার্ড বাদে বাকি ৩ (মেক্স) টা সেকেন্ডারি কিওয়ার্ড টার্গেট করবেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মেটা কিওয়ার্ড নিয়ে না ভাবলেও চলবে।সেম ইন্টেনশনের ভিন্ন ভিন্ন কিওয়ার্ড ফ্রেস টার্গেট করে লিখা যাবে না (যেমন good antivirus এবং best antivirus অনেকক্ষেত্রেই সেম ইন্টেন্ট এর। অনেকেই হয়তো সিপিসি দেখে দুইটা নিয়ে আলাদা আলাদা লেখা পাবলিশ হবে) এতে ক্যানিনিবালাইজশেন প্রবলেমে পরবেন।ভিজিটর নাই এমন সাইটে নিশ্চই গুগল অ্যাড বাসাতে আগ্রহি হবে না, মোটা কথা, সাইটে ভিজিটর বাড়ীয়ে নিন তারপর আবেদন করুন।
উপরে আলোচিত বিষয়গুলো সঠিক ভাবে ইমপ্লিমেন্ট করুন এবং তারপর এডসেন্স এ আবেদন করুন। যদি সবকিছু ঠিক ঠাক থাকে তাহলে আপনার অ্যাডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র!
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অন্যের পণ্য বা সেবা প্রচার এবং প্রচারণার মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়া বা বিক্রি করতে সাহায্য করা এবং সেটা থেকে নির্দিষ্ট হারে কমিশন গ্রহণ করা হচ্ছে একজন মার্কেটারের অ্যাফিলিয়েশন আয়। আর এই পুরো প্রক্রিয়াটিই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করার যত উপায় আছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে তন্মধ্যে অন্যতম কার্যকরী মাধ্যম। এই মাধ্যমকে ব্যবহার করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোন প্রতিষ্ঠানের পণ্যের প্রচার চালিয়ে আয় করতে পারেন ইন্টারনেট মার্কেটাররা।
নেটওয়ার্কঃ
নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিক করে দেয় কোন পণ্য বিক্রি করলে একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার কত কমিশন পাবেন। নেটওয়ার্কে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা আলাদা অ্যাকাউন্ট থাকে যেখানে তাঁরা তাঁদের আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করতে পারে। এছাড়াও নেটওয়ার্ক পাবলিশার এবং উৎপাদনকারীকে নিরাপত্তা দেয়। উৎপাদনকারীর কোন পণ্য বা সেবা যদি কোন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার বিক্রি করে দেয় তাহলে তার প্রাপ্য কমিশন প্রদান করতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বাধ্য থাকবে। অপর দিকে উৎপাদনকারীর পণ্য বা সেবা যাতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার তার নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন মেনে বিক্রি করে সেটার নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে। আর এই কাজের জন্য নেটওয়ার্ক উভয় পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট হারে কমিশন রাখে। নিচে জনপ্রিয় কিছু নেটওয়ার্কের নাম দেওয়া হল:
ক্লিকব্যাংককমিশন জাংশনলিংকশেয়ারআমাজনশেয়ারএসেলওয়ারিয়রপ্লাসঅ্যাফিলিয়েটউইন্ডোঅ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোন রকেট সাইন্স না যে আপনাকে শিখতে বছরের পর বছর ব্যয় করতে হবে। ভাল ইংরেজি জানলে আর ঠিকমত অধ্যাবসায় করলে ৩ থেকে ৪ মাসের ভিতরেই আপনি দক্ষ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শেখার জন্য যেসব বিষয় আপনাকে শিখেতে হবে তা হল:
সাবলীল ইংরেজি লেখার ক্ষমতা।ব্লগ তৈরি ও তা রক্ষনাবেক্ষণ জানা।ব্লগ প্রমোশনের বা মার্কেটিংয়ের জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) শিখতে হবে।সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং জানতে হবে।ইমেইল মার্কেটিংয়ের দক্ষতা থাকতে হবে।
কিভাবে শিখতে হয়:
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে হলে প্রচুর পড়াশোনা করা দরকার। ইন্টারনেটে সার্চ করে উপরের বিষয়গুলো শিখতে হবে। বিভিন্ন রাইটারের লেখা পড়ে, তাদের পিডিএফ বই পড়ে বা ভিডিও দেখেও আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে পারেন।
ব্লগিংয়ে আয়
অনলাইনে আয়ের বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে। এর একটি ব্লগিং। তবে ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রেও আয়ের কয়েকটি উপায় রয়েছে। তবে সেগুলোর স্থায়িত্ব, নিরাপত্তা, মান সর্বোপরি যথাযথ মাধ্যম খুঁজে পাওয়া নতুন ব্লগারদের জন্য অনেকটা কষ্টকর বটে। এই পোস্টটিতে আমি নতুন ব্লগারদের জন্য জনপ্রিয় ৫টি আয়ের মাধ্যম নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করছি। আমি নিজেই এই মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে থাকি এবং আয়ের পরিমানও যথেষ্ঠ ভালো।
যে মাধ্যম ব্যাবহার করে আপনি আপনার ব্লগ দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন, সেগুলা হচ্ছে ঃ
১। গুগল অ্যাডসেন্স
২। ডিরেক্ট অ্যাডভারটাইজমেন্ট: ব্যানার অ্যাড
৩। ফিচার্রড ব্লগ পোস্ট
৪। ব্যাকলিংক বিক্রি
৫। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
৬। নিবন্ধ লিখে আয় রোজগার
৭। ব্লগে নিজের মতামত প্রকাশের জন্যে টাকা
মাইক্রোওয়র্কারস
মাইক্রোওয়ারকার্স (Microworkers.com)। এই সাইটে ছোট ছোট কিন্তু সহজ কাজ পাওয়া যায়। আর এই কাজ গুলো সম্পাদনা করতে কয়েক মিনিট এর বেশি লাগে না। এই সাইটে সদস্য বা রেজিস্ট্রেশন করার সাথে সাথে পাবেন ৳১ ডলার বা ৬৯.৫২৫ টাকা। আপনার রেফারেল লিংক ব্যবহার করে কেউ রেজিস্ট্রেশন করলে পাবেন ৳১ ডলার। আর ছোট ছোট কাজ গুলো থেকে তো ইনকাম হবেই। তবে কাজ সহজ বলে এখানে ইনকামের পরিমান তুলনামূলক কম।
এভাবে আপনি ১ থেকে ২ ঘন্টা সময় দিয়ে প্রতিদিন ৳১ – ৳৩ ডলার আয় করতে পারেন ইচ্ছে করলে। টাকা পাবেন পে-পাল, মানি-বুকার, চেক ইত্যাদি মাধ্যমে।
কেউ কেউ হয়তো ভাবছেন আমি এত বিজ্ঞাপন করছি কেন? তাই না? আমি ভাবলাম আপনারাতো ব্লগে বসে আছেন কিছুনা কিছু শেখার জন্যে। তাই ভাবলাম আপনাদের আমার এই সামান্যতম কষ্ট যদি কারও উপকার করে তাহলে দোষ কি।
শুরু করবেন যেভাবে
মাইক্রোওয়ারকার্স ডট কম লিংকে ক্লিক করার পর উপরে তাকিয়ে দেখেন Register for free লেখা আছে সেখানে ক্লিক করুন। রেজিস্ট্রেশন র্ফম পুরন করার পর একাউন্ট চালু করার জন্য আপনার দেওয়া ই-মেইলে একটি লিংক দিবে সেখানে ক্লিক করুন। সাথে সাথে আপনার একাউন্টে পৌছে যাবে আপনার কাংক্ষীত ৳১ ডলার বা ৬৯.৫২৫ টাকা। এরপর Available jobs এ গিয়ে আপনার পছন্দমত কাজ খুঁজে নিন। যত বেশি কাজ করবেন, তত টাকা পাবেন।
ফাইভার
Fiverr.com । এই সাইট টির বিশেষত্ব হচ্ছে, এখানে আপনি আপনার পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন বিনা টাকায় দিতে পারবেন। সেই বিজ্ঞাপন গুলোকে বলা হবে গিগ। আপনার গিগ যদি কারো পছন্দ হয় তা হলে তিনি $৫ এর বিনিময়ে আপনার গিগ টিকে অর্ডার করতে পারেন। কারন এই সাইট এর সব কাজ ই হয় $৫ এর। এই সাইট টির ট্রাফিক অত্তন্ত বেশি ( প্রায় ৪০,০০০ প্রতি দিন)। তাই বলা যাই না, ভাগ্য ভালো থাকলে প্রতিদিন ২-৩ টি অর্দার পাওয়া কোন বিষয়ই না। আমি নিজের কথা বলতে পারি। আমি প্রতিদিন ৩-৪ টি অর্ডার পাই।
কাজের বা গিগ এর ধরনঃ
একটু খেয়াল করলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন কোন ধরনের গিগ আপনাকে পোস্ট করতে হবে। না না ভয় পাবার কিছু নেই। এখানে রয়েছে বিভিন্ন বিভাগ। এই বিভাগ গুলোর যেকোনোটিতে আপনি যতো খুশি ততো গিগ প্রতিদিন জমা দিতে পারেন। তবে বেশি গিগ দিলেই যে বেশি অর্ডার পাওয়া যায় কথাটি এমনও নয়। আমি এখনও মাঝে মাঝে আমার ১ম গিগ থেকেও অর্ডার পাই। পুরো ব্যাপারটি নির্ভর করছে আপনার গিগ এর ধরন, নিজস্বতা, আর আপনার পণ্যের চাহিদার উপর। বিষয়টি আরও ভালোভাবে বললে, গিগ এর চাহিদা ও আপনার লেখার সৃজনশীলতার উপরই নির্ভর করে আপনার গিগ এর সফলতা। আপনি যদি নিজেকে সৃজনশীল ভাবে উপস্থাপন করতে পারেন তবে আমার মনে হয়না যে ১ম অর্ডারটি পেতে আপনাকে খুব বেশি আপেক্ষা করতে হবে। তবে, সব সময়ই যে একই ধরনের লেখা লিখে সফল হবেন তা ভাবা টাও ঠিক নই। কখনই অন্যদের গিগ নকল করবেন না। যদি দেখা যাই অর্ডার পাওয়া যাচ্ছে না তাহলে গিগ এর বিষয় পরিবর্তন করুন, লেখায় বৈচিত্র্য আনুন। সফলতা আসবেই। আমি পারছি আপনি কেন পারবেন না? আর এখানে টাকার অঙ্ক টাও কিন্তু নেহাত কম নয়। প্রতিটি গিগ সেল $৫ (৳৩৫০)। যদিও সাইটটি সার্ভিস চার্জ বাবদ $১ কেটে রেখে $৪ পেমেন্ট করে। এই সাইট এর রেজিস্ট্রেশন এর নিয়ম অন্যান্য সাইট এর মতই খুবই সাধারন।
ব্যানার অ্যাড
যদি আপনার করা সাইটে ট্রাফিক অনেক বেশি হয়, তাহলে আপনি আপনার ব্লগে সরাসরি ব্যানার বিজ্ঞাপন বসিয়ে ভালো আয় করতে পারেন। আপনার ভিজিটর যত বাড়বে, আপনার অ্যাডভারটাইজার অর্থাৎ যে আপনাকে বিজ্ঞাপনটি দিয়েছেন, তিনি আপনাকে বেশি পে করতে উৎসাহিত হবেন। এক্ষেত্রে আপনি ব্যানার বিজ্ঞাপনের জন্য কত টাকা নিবেন সেটি আপনার উপর নির্ভর করবে। সাধারণত একটি ব্লগে ২৫০ বাই ২৫০ পিক্সেল এর ব্যানার অ্যাডের জন্য প্রতি মাসে ৫০ ডলার পাওয়া যেতে পারেন, এটি মোটেই খারাপ নয়। যেসব ব্লগের ট্রাফিক অপেক্ষাকৃত বেশি তারা এর থেকে বেশি চার্জ নির্ধারণ করতে পারেন।
ডিরেক্ট অ্যাডভারটাইজিংয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো এক্ষেত্রে আপনাকে নিজে বিজ্ঞাপন খুঁেজ পেতে হবে। আপনাকে তাদের কাছে আপনার ব্লগে তারা বিজ্ঞাপন দিলে কি কি সুবিধা পাবে এসব নিয়ে একটি প্রোপোজাল লেটার পাঠাতে হবে। আমি নিজেই আমার ব্লগে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শরনাপন্ন হয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্যে অল্পসংখ্যক আমার প্রস্তাবে রাজি হয়েছে। তবে আপনার ব্লগটি যদি জনপ্রিয় হয়, আপনি ভালো ট্রাফিক পান তাহলে আপনার ব্লগে ‘‘Advertise Here’’ লিংকটি হোমপেজে রাখতে পারেন। যদি কোনো অ্যাডভারটাইজার রাজি তাহলে তারা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে।
ফিচার্রড ব্লগ পোস্ট
একজন ব্লগার হিসেবে অনলাইনে আয়ের একটি অন্যতম মাধ্যম ফিচার্রড ব্লগ পোস্ট। এক্ষেত্রে একজন বিজ্ঞাপনদাতা তার পণ্য বা সেবার বিষয়ে একটি নিশ ব্লগে আর্টিকেল পাবলিশ করতে পারেন। এক্ষেত্রে তার পণ্য বা সেবার প্রসার বেশি ও কার্যকর হয়। এছাড়া পাবলিশার এখান থেকে ডুফলো ব্যাকলিংক পেতে পারেন। ফলে প্রত্যক্ষভাবেই আপনি লাভবান হবেন।
বিষয়টি যদি ভালোভাবে না বুঝেন, তাইলে একটু খুলে বলি। ধরেন, আপনি একটি নিদ্দিষ্ট বিষয় নিয়ে যেমন ডোমেইন বিক্রি ও ওয়েব হোস্টিং নিয়ে লিখছেন। এক্ষেত্রে আপনার কোনো পোস্টে ডোমেইন ও হোস্টিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান তাদের নাম রেফার করার জন্য বলতে পারে। অথবা তাদের কাছ থেকে ডোমেইন ও হোস্টিং নিলে কি কি সেবা পাওয়া যাবে সেটি নিয়ে লিখতে পারেন। এক্ষেত্রে এ প্রতিষ্ঠানটি আপনার পোস্টের জন্য আপনাকে পে করবে।
সাধারণত একটি ব্লগে প্রতিটি ফিচারর্ড পোস্টের জন্য ২৫ ডলার চার্জ পাওয়া যেতে পারে। অনেকে ফিচারর্ড পোস্টের সাথে ব্যানার অ্যাডও দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে আপনাকে অ্যাডভারটাইজার খুঁজতে হলে ডিরেক্ট অ্যাডভারটাইজমেন্টের মতো একই পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ওয়েবসাইটকে ফিচারর্ড পোস্টের সুবিধাগুলোসহ প্রোপ্রোজাল পাঠাতে পারেন।
ব্যাকলিংক বিক্রি
ব্যাকলিংক হচ্ছে একটি সাইটের পেজর্যাংক বাড়ানোর মূল হাতিয়ার। একটি ওয়েবসাইটের কোন পৃষ্ঠায় যদি অন্য একটি সাইটের লিংক থাকে তাহলে দ্বিতীয় সাইটের জন্য এই লিংককে বলা হয় ব্যাকলিংক বা ইনকামিং লিংক। আর প্রথম সাইটের জন্য এই লিংকটি হচ্ছে আউটগোয়িং লিংক, অর্থাৎ এই লিংকে ক্লিক করে ব্যবহারকারী দ্বিতীয় সাইটে চলে যাবে। এইভাবে একটি ওয়েবসাইটের যত বেশি ব্যাকলিংক থাকবে সেই ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারী আসার প্রবণতা বেড়ে যাবে। পাশাপাশি সার্চ ইঞ্জিনের রোবট প্রোগ্রাম সেই সাইটকে খুব সহজেই খুঁজে পাবে। এজন্য অনেক ওয়েব পাবলিশাররা তার ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ব্লগসাইটের শরণাপন্ন হন।
আপনার ব্লগটি জনপ্রিয় হলে আপনি আপনার সাইটে অন্যসাইটের ব্যাকলিংক বাড়ানোর কাজ করতে পারেন। বিভিন্ন আর্টিকেল ডিরেক্টরি সাইটে পোস্ট করেও ব্যাকলিংক পাওয়া যায়। এই কাজটি করা যেতে পারে। সাধারণত একটি ব্যাক লিংকের জন্য ২০/২৫ ডলার চার্জ করতে পারেন। এ কাজটি পেতে যারা ব্যাকলিংক পেতে চায় তাদের কাছে আপনাকে একজন কোয়ালিটি রাইটার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তাদেরকে হাই পিআর ব্যাকলিংকের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে হবে, বিশেষ করে একটি নতুন ওয়েবসাইটের জন্য এটা কতোটা আবশ্যকীয় তা জানানো জরুরী।
ছবি তোলে আয়
যদি আপনি ভাল ফটোগ্রাফার হয়ে থাকেন; তবে আপনার ফটো আপনি বিক্রি করতে পারবেন। অনলাইনে প্রচুর ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনি ১ ডলার থেকে শুরু করে ১০০ ডলার দিয়ে ছবি বিক্রি করার সুযোগ পাবেন।
যেসকল সাইটে ছবি বিক্রি করতে পারবেন; সেগুলো হচ্ছে ঃ
1. iStock Photo
2. SmugMug
3. Alamy
4. Fotolia
5. Dreamstime
6. PhotoShelter
7. Shutterstock
End....
0 comments:
Post a Comment